বিজয় মানে ছিল চেতনার মুক্তি, সংকীর্ণতার মুক্তি, কলমের মুক্তি, প্রেরনা ও শক্তির মুক্তি, যাচাই ও প্রয়োগের মুক্তি, বুর্জোয়া ও একনায়কতন্ত্র থেকে মুক্তি। আত্মার মুক্তি কি হয়েছে?
একটি জাতির বিবেকের মুক্তি? বিভাজন থেকে পেরেছে কি হতে মুক্ত? বর্বরতা থেকে?
বিজয়ের উল্লাসে নারীর কাপড় কি উড়ে এখনো বাংলার আকাশে?
মন কি আমার মুক্ত?
আর ফুল বিক্রেতা ওই শিশুগুলো ১০ টাকায় কি মুক্তি পেল?
আজকের দিনে অজান্তেই জানতে চায় মন,
বিজয় হলো কিসের?
বিজয়ী হল কারা?
আমরা নাকি তারা?
কাদের শিরায় মুক্তি, টিএসসির নেশাগ্রস্তের নাকি ছাত্রহলের ২০৩ রুমের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছেলেটার?
মুক্তি কি? বিজয় কি?
এ প্লাস আর প্রযুক্তিবিদ্যা?
ওই মন্ত্রীর সেল্ফি আর বাসের দুয়ারে হঠাত দেখা?
আমার তবে মুক্তি ‘হয়না’, কার ‘হয়’?
মুক্তি কি মিলল?
এতো সহজে বিজয় আসেনি,
এতো সহজে বিজয় আসবেনা,
এতো সহজে বিজয় আসেনি,
এতো সহজে বিজয় আসবেনা।
বিজয় কিন্তু মানুষের ছিল কিন্তু মানুষকে এই বিজয়ের নেশা কুড়ে কুড়ে খেলো,
নীতির গলদে কিন্তু কপাল পুড়লো!
তাহলে বিজয় কিসের?
এ বিজয় কি মেনে নেয়া যায়?
বিজয় কি নতুনদের ছোঁবে না?
নতুনের হাতে লাল সবুজ পতাকা কি উড়বে না?
তাহলে তাই হোক,
মুক্তি (না)পাক গনতন্ত্র, গঠনতন্ত্র আর নিয়মাবলী,
মুক্তি (না)পাক জাতিত্ব আর বিবেক।
মানুষগুলো কি বেড়িয়ে আসবে রাস্তায়?
ঢ্ল নামবে কি কিশোর-কিশোরীর বইমেলায়?
স্মৃতির ছবি পটে নিজেদের তুলে না ধরে তুলে ধরবে সাহিত্য আর সংস্কৃতি, নিত্যনতুন জয়ের গল্প।
সেই উদ্ভাবনীশক্তি আসবে কি নেমে সত্যিকারে,
সাথে তাদের ‘অ্যাচিভমেন্ট আনলক্ড’ হবে ধরো সত্যিকারের।
ওই হ্যামবারগার আর ফ্রোজেন ফুডের হ্যাশট্যাগের সাথে তরুনরা একটু কষ্ট নিয়ে ভাবুক, একটু ভাবুক।
বিসর্জন নিয়ে ভাবুক, ব্যথা নিয়ে ভাবুক,
মাকে নিয়ে ভাবুক,
দেশ নিয়ে ভাবুক, এগিয়ে আসুক
আচ্ছা নাহয় উড়েই আসুক, সব ছেড়ে!
তাহলে কি দেশ মুক্ত হবে?
হয়তো তবে প্রকৃত বিজয় আসবে, রূপকথার কথিত বিজয়।
বিজয় দিবসটা নাহয়
১৬ ই ডিসেম্বর রাখবো তখন।